শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে শয্যা বাড়লেও জনবল অপর্যাপ্ত

স্বাস্থ্যসেবায় হেলথ সিস্টেম স্ট্রেনদেনিং (এইচএসএস) সূচকে ২০২৩ সালে দেশসেরা হাসপাতালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেয় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল। ওই বছরই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে শয্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত জনবল নেই। ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠান। শয্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওষুধ, পরীক্ষার যন্ত্রাংশ কোনো কিছুরই বরাদ্দ আসেনি। শুধু খাবার বরাদ্দ ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ জনের করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলার পাঁচ উপজেলার রোগী ছাড়াও পাশের চার জেলার আরো চার-পাঁচটি উপজেলা থেকে প্রায় ৫০০ রোগী গাদাগাদি করে ভর্তি থাকে হাসপাতালটির মেঝে-বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নেয় গড়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০-১ হাজার ৯০০ রোগী। নানা সংকটের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশসেরা হাসপাতালের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে হাসপাতালটি। স্বাস্থ্য সুবিধার পর্যাপ্ততা (ফ্যাসিলিটি স্কোরিং), ওয়ান সাইট মনিটরিংয়ের অনলাইন পর্যবেক্ষণ, ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনে ও পেশেন্ট স্যাটিসফেকশন নিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অবস্থান নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবশ্য এর আগের বছর প্রথম স্থানে ছিল জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল।

পুরুষ মেডিসিন, অর্থো ও সার্জারি, গাইনি, কার্ডিওলজি, ডায়রিয়া, অবজারভেশন, কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারসহ ১২টি ওয়ার্ডে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শূন্য রয়েছে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্টের পদ।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও অন্য সবকিছু ১০০ শয্যারই রয়েছে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা নিয়ে ১০০ শয্যার ব্যবস্থাপনা দিয়েই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে গত এক বছরে ২ কোটি টাকা হাসপাতালের রাজস্ব আয় হয় যা বিগত দিনের তুলনায় আট গুণ বেশি আয় হয়েছে। প্রতি মাসে সব ধরনের অপারেশন হয় এক হাজারেও বেশি। ১০ শয্যার আইসিইউ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। তবে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে এখনো চালু হয়নি।’

ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, ‘সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব যন্ত্র সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডায়ালাইসিস সেন্টারে নেফ্রোলজিস্ট চিকিৎসক নেই, অন্য চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালানো হচ্ছে। ২৫০ শয্যার সবকিছু পেলে রোগীকে ভালো সেবা দেয়া যাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 Nagarkantha.com